ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত ২০২৪

বাংলাদেশে সব মানুষ চায় ভালো একটা ব্যবসা করতে। কিন্তু কি ব্যবসা করলে বেশি লাভবান হতে পারবে সে তথ্য জানে না। এখন সব মানুষ মোবাইলে সিম ব্যবহার করে থাকে। আর সিম ব্যবহার করলে কথা বলার জন্য অবশ্যই তাদের টাকা লোড করার প্রয়োজন পরে। এখন বর্তমান অনেক মানুষ আছে তারা ফ্লেক্সিলোড করে অনেক টাকা ইনকাম শুরু করছে। এখন কোন ব্যবসা শুরু করার আগে লাভ কেমন হবে ? এবং কত টাকা লাগবে সে তথ্য জানতে চান। আপনি যদি ফ্লেক্সিলোড এর ব্যবসা করতে চান তাহলে আগে আপনাকে একটি সিম কিনতে হবে।

আপনি আমাদের এই লেখাটি পড়লে ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমরা আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম জানাবো। বাংলাদেশে কয়েকটি ফ্লেক্সিলোড সিম পাওয়া যায়। আপনি যদি ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার জন্য সিমের দাম খুঁজে থাকেন।

তাহলে আমাদের লেখাটি পড়ে ফ্লেক্সিলোড করার গ্রামীন সিম সহ সব রকম সিমের দাম জানতে পারবেন। এবং আমরা আপনাকে এক সিম দিয়ে বিভিন্ন সিমে কিভাবে লোড করবেন সে সম্পর্কে জানাবো। তারপর কিভাবে ব্যবসা করলে  বেশি লাভবান হতে পারবেন সেই তথ্য জানাবো। আপনি যদি এই ফ্লেক্সিলোড করার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনি আমাদের লেখাটি পড়ে বিভিন্ন রকম ফ্লেক্সিলোড করার সিম এর দাম জানতে পারবেন। জানতে হলে পোষ্ট টি মনোযোগ সহকরে পড়তে থাকুন।

ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত

যারা নতুন ফ্লেক্সিলোড দোকান দিতে চাচ্ছেন। তাদের ব্যবসা শুরু করার প্রথম এই একটি ফ্লেক্সিলোডের সিম কিনতে হবে। কারণ এই ফ্লেক্সিলোড সিম দিয়েই আপনি সবার সিম এ টাকা লোড করে দিতে পারবেন। এইজন্য প্রথমে আপনাকে একটি ফ্লেক্সিলোড করার সিম কিনতে হবে। নির্দিষ্ট একটি সিম দিয়ে সকল কাস্টমারদের কে টাকা লোড করে দিতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে আপনার এনআইডি এবং ছবি দিয়ে একটি ফ্লেক্সিলোড করার সিম কিনতে হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের ফ্লেক্সিলোড করার সিম রয়েছে। বাংলাদেশের অনুমোদিত সব অপারেটর ফ্লেক্সিলোড করার  সিম পাওয়া যায়। আগের বছরের তুলনায় এ বছর অনেক টাই ফ্লেক্সিলোড করার  সিমের দাম বেড়ে গেছে। আপনি যদি এই বর্তমান সময়ে একটি ফ্লেক্সিলোড করার সিম কিনতে চান, তাহলে আপনাকে ৬ হাজার টাকা বাজেট রাখতে হবে। তাহলে আপনি ফ্লেক্সিলোড করার সিম কিনতে পারবেন।

গ্রামীণফোন ফ্লেক্সিলোড সিম

বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানি হলো গ্রামীণফোন কোম্পানি। অনেক মানুষের গ্রামীন সিম ব্যবহার করে থাকে। কারো সাথে কথা বলার জন্য তাদের সিমে টাকা তোলার প্রয়োজন হয়। তখন তারা বাজারে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকান খুঁজে।আপনিও চাইলে গ্রামীণফোনের ফ্লেক্সিলোড করে দিতে পারবেন। যারা ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন। তাদের প্রথমে একটি গ্রামীন ফ্লেক্সিলোডের সিম কিনতে হবে। তারপর আপনার গ্রামীণফোনের কোম্পানির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে। ব্যবসা করার জন্য একটি ফ্লেক্সিলোড সিম নিতে পারবেন।

প্রথমে আপনার ডকুমেন্ট হিসেবে আপনার ছবি এবং এনআইডি কার্ডের ফটোকপি এবং দোকান নেওয়ার কিছু তথ্য দিয়ে আপনাকে একটি গ্রামীন ফ্লেক্সিলোড সিম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর আপনি সমস্ত গ্রামীন সিমে টাকা লোড করে দিতে পারবেন। এতে আপনার গ্রামীণফোন কোম্পানি প্রতি হাজার আপনাকে কমিশন দিতে থাকবে। আপনি কোম্পানির এস.আর এর সাথে যোগাযোগ করলে আপনার ফ্লেক্সিলোড সিম রেডি করে তারপর টাকা লোড করে দিবে। আপনাকে সর্বোমোট ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।  

ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার নিয়ম

যেকোনো কাজ করার জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে। তেমনি ব্যবসা করার ক্ষেত্রেও অনেক কিছু নিয়ম পালন করতে হয়। আপনি যদি ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। কারণ ব্যবসার করার ক্ষেত্রে সরকারি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। প্রত্যেকটা ব্যবসায়ীর তাদের ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়। এবং ফ্লেক্সিলোডের যে সিম গুলো কিনবেন প্রত্যেকটা সিমের কোম্পানিতে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং ছবি আপনার বিভিন্ন তথ্যগুলো দিয়ে ফ্লেক্সিলোডের সিম ক্রয় করতে হবে। আপনি এই নিয়ম গুলো মানলে আপনার ব্যবসা করতে কোন ঝমেলা হবে না। ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার এই নিয়মগুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

এয়ারটেল ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম

বাংলাদেশের নতুন করে এয়ারটেল সিম অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ এয়ারটেল সিমে অনেক ভালো মিনিটে এবং ইন্টারনেটের বান্ডেল দিয়ে থাকে। অনেকেই এমবি এবং মিনিট তোলার জন্য বাজারে গিয়ে ফ্লেক্সিলোডের দোকান খুঁজে। আপনিও চাইলে এভাবে কাস্টমারদের কে টাকা লোড করে দিতে পারবেন। যারা নতুন ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন,তাদের প্রথমে একটি এয়ারটেল ফ্লেক্সিলোড সিম ক্রয় করতে হবে। আপনি যদি একটি এয়ারটেল ফ্লেক্সিলোড সিম ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে এয়ারটেল কোম্পানির এস.আর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টে দিয়ে আপনি একটি ফ্লাক্সিলোড সিম কিনতে পারবেন। আপনাকে একটি এয়ারটেল ফ্লেক্সিলোড সিম কিনতে হলে ৫ হাজর থেকে ৬ হাজার টাকা বাজেট রাখতে হবে। তাহলে আপনি একটি এয়ারটেল ফ্লেক্সিলোড সিম কিনতে পারবেন।

ডিজিটাল ফ্লেক্সিলোড রেজিস্ট্রেশন

বর্তমান আধুনিক যুগে অনেক কিছুই করা যায়। আপনি চাইলে ডিজিটাল ফ্লেক্সিলোড রেজিস্ট্রেশন করে একটি সিমের মাধ্যমেই সকল সিমের লোড করে দিতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। তারপর একটি সিম দিয়ে ওই সফটওয়্যার  দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে হলে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিতে হবে। যেমনঃ আপনার সিম নাম্বার, ভোটার আইডি নাম্বার, আপনার নাম ও জন্ম সাল, একটি ছবি সবকিছু ঠিক থাকলে সাবমিট করে দিতে হবে। তারপরে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হলে আপনি এই অ্যাপসের মাধ্যমে যে কোন সিমে ফ্লেক্সিলোড করে দিতে পারবেন।

বাংলালিংক সিমের দাম কত

আমরা অনেকেই আছি তারা বাংলালিংক সিম ইউজ করে থাকি। কোন সময় কথা বলার প্রয়োজন হলে প্রথমে আমাদের সিমে টাকা লোড করতে হয়। এবং কি কোন এমবি এবং মিনিট বান্ডেল অফার কিনতে হলেও আমাদের টাকা রিচার্জ করতে হয়। তখন আমাদের বাজারে গিয়ে প্রথমে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে যাই। ইতিমধ্যেই অনেকে আছেন তারা নতুন ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন। কিন্তু তারা ফ্লেক্সিলোড করার সিমের দাম জানেনা। এখন অনেকটাই ফ্লেক্সিলোড করার সিম এর দাম বেড়ে গেছে। আপনাকে এখন একটি বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড সিম কিনতে হলে, প্রথমে আপনাকে বাংলালিংক কোম্পানির এস.আর এর সাথে যোগাযোগ করে সিম কিনতে হবে। আপনাকে মোট ৬ হাজার টাকা বাজেট রাখতে হবে। তাহলে আপনি একটি বাংলালিংক ফ্লেক্সিলোড সিম কিনে ব্যবসা করতে পারবেন।

এক সিম দিয়ে সব সিম এ ফ্লেক্সিলোড করার নিয়ম

এখন যারা ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করতে চাচ্ছেন। তারা চাইলে এক সিম  দিয়ে বিভিন্ন সিমে ফ্লেক্সিলোড দিতে পারবেন। আগে আপনাদের গ্রামীন সিম কিনলে শুধু গ্রামীন সিমে ফ্লেক্সিলোড দেওয়া যেত। এবং বাংলালিংক সিম কিনলে শুধু বাংলালিংক সিম এই ফেক্সিলোড দেওয়া যেত। এখন আপনি চাইলে একটা সিম দিয়ে যেকোনো সিমে ফেক্সিলোড করতে পারবেন। প্রথমে আপনাদেরকে ফেক্সিলোড করার সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে। এইটা আপনি প্লে স্টোরে সার্চ করলে রিচার্জ করার সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন। তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে সফটওয়্যারটি ভেরিফিকেশন করতে হবে। এই সফটওয়্যারটি  শুধু বাংলালিংক সিম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। 

ফ্লেক্সিলোড কমিশন

অনেকে আছেন আপনারা ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন। কিন্তু আপনারা ১ হাজারে কত টাকা কমিশন পাবেন সে তথ্য জানেন না। আপনি আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে ১ হাজারে কত টাকা কমিশন পাবেন সে তথ্য জানতে পারবেন। বর্তমানে ফ্লেক্সিলোড সিম কোম্পানিরা ব্যবসায়ীদের প্রতি ১ হাজারে ৩০ টাকা কমিশন দিয়ে থাকে। আপনি যদি প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা ফ্লেক্সিলোড করতে পারেন, তাহলে আপনার অনেক টাকা ইনকাম হবে। আপনি যদি আরও বেশি ফ্লেক্সিলোড করতে পারেন তাহলে আপনার প্রতিদিন আরো বেশি টাকা ইনকাম থাকবে। আপনি যদি একটি ভালো সাইট দেখে দোকান দিতে পারেন। যেখানে প্রতিনিয়তই মানুষ বেশি চলাচল করে। তাহলে আপনি প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা ফ্লেক্সিলোড করতে পারবেন। এবং আরো বেশিও হতে পারে। 

ফ্লেক্সিলোড একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি একটি ফ্লেক্সিলোড একাউন্ট খুলতে চান। তাহলে আপনাকে প্রথমে প্লে স্টোরে গিয়ে ফ্লেক্সিলোড অ্যাপ লিখে সার্চ করতে হবে। তারপর আপনাকে ওই সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে হবে।ইন্সটল করা হয়ে গেলে প্রথমে আপনি পরটাল লেখাতে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনাকে রেজিস্টার নিউ ডাউনলিংক এ ক্লিক করলে একটি ফরম সামনে আসবে, প্রথমে আপনার ইউজার নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সেট করে নিতে হবে। আপনি এইরকম ভাবে অতি সহজেই ফ্লেক্সিলোড একাউন্ট খুলতে পারবেন।

শেষ কথা

আশা করি,আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোষ্ট পড়েছেন এবং আপনার ভালো লেগেছে। ইতিমধ্যেই অনেকই আছেন তারা নতুন ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন। কিন্তু কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে হয় কত টাকা লাগবে সে তথ্য জানেননা। ফ্লেক্সিলোড ব্যবসার শুরু করার আগে তারা আগে সিমের দাম খুঁজে থাকে। আপনি আমাদের উপরে লেখাগুলো পড়ে বিভিন্ন প্রকার ফ্লেক্সিলোড সিমের দাম কত জানতে পেরেছেন। আপনার যদি আমাদের এই পোষ্ট পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিন। ধন্যবাদ

Leave a Comment