অনেকে রয়েছে তুরস্ক যাওয়ার কথা ভাবতেছেন। তুরস্ক হলো পশ্চিম এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। প্রতি বছরেই সরকারি ভাবে বিভিন্ন দেশের শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। তুরস্কের দেশের কাজ অনুযায়ী শ্রমিক অনেক কম। এজন্য কোম্পানির অথবা অন্যান্য কাজের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের সার্কুলার দিয়ে থাকে। আপনি যদি কাজের ভিসা তুরস্ক যেতে চান তাহলে আগে আপনাকে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
অনেকেই চায় কাজের উদ্দেশ্যে তুরস্ক যেতে। বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে এজেন্সির মাধ্যমে তুরস্কর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সরকারি ভাবে তুরস্কর ভিসা পেলে কম খরচের মধ্যেই তুরস্ক পৌঁছানো যায়। অনেকে রয়েছেন কিভাবে কাজের ভিসা করতে হয় এবং ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানেন না। তুরস্ক কাজের ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইলে আমাদের দেওয়া সম্পূর্ণ পোস্ট পড়তে থাকুন।
তুরস্ক কাজের ভিসা
আপনি তুরস্ক কাজের ভিসা যেতে চাইলে আগে আপনাকে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। তুরস্কের অনেক ধরণের কাজ রয়েছে। আপনি কি কাজে তুরস্ক যেতে চাচ্ছেন সেই কাজের অভিজ্ঞতা দেখাতে হবে। কারণ অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি খুব সহজেই তুরস্ক কাজের জন্য ভিসা পেতে পারেন।
অনেকেই রয়েছেন তুরস্কের কাজের ভিসা কি ধরনের কাজ করা যাবে সে সম্পর্কে কোন তথ্য জানেন না। আপনি তুরস্কের গেলে আমাদের দেওয়া এ কাজগুলো করতে পারবেন। কনস্ট্রাকশন , মেকানিক্যাল, ড্রাইভিং, ইলেকট্রিক্যাল, রেস্টুরেন্ট, ক্লিনার সহ আরো কয়েক ধরনের কাজ রয়েছে।
তুরস্ক ভিসার দাম কত
আপনার যদি তুরস্কের কোন পরিচিত লোক না থাকে তাহলে অবশ্যই কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করতে হবে। সরকারিভাবে যদি তুরস্কর ভিসা পেয়ে যান তাহলে সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা থেকে চার লক্ষ টাকার মধ্যে তুরস্ক যেতে পারবেন। এবং ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী দাম কম বেশি হয়। বর্তমান তুরস্কের একটি ভিসা করতে চাইলে সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক ভিসা
বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক যেতে চাইলে একটু বেশি টাকা খরচ হয়। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীরা তারা উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার জন্য তুরস্ক স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতেছেন। আবার অনেকেই ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে তুরস্কে যাচ্ছেন। সবাই কোন এক দেশে যাওয়ার আগে কত টাকা খরচ হবে এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কোন এজেন্সির মাধ্যমে তুরস্কর ভিসা করেন তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা এবং ভিসা করতে ৪ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগবে। এবং কোন কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং অন্যান্য ভিসা করলে ৭ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগবে।
তুরস্ক কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত
অন্যান্য কাজের তুলনায় তুরস্কে কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন বেশি উত্তোলন করা যায়। সবাই বেশি টাকা উত্তোলন করার জন্য কনস্ট্রাকশন কাজের ভিসা করে থাকেন। কিন্তু বর্তমান তুরস্ক কনস্ট্রাকশন কাজে কত টাকা বেতন দেয় সে সম্পর্কে কোন তথ্য জানেন না।
অর্থাৎ আপনার কাজের অভিজ্ঞতার উপর বেতন নির্ধারণ করা হবে। আপনি যদি নতুন অবস্থায় তুরস্ক কনস্ট্রাকশন ভিসা যান তাহলে ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন হবে। এবং আপনার যদি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে থাকে তাহলে ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত কনস্ট্রাকশন কাজে বেতন উত্তোলন করা সম্ভব।
তুরস্ক এম্বাসি বাংলাদেশ ঠিকানা
আপনি যদি তুরস্ক যেতে চান তাহলে ভিসা করার জন্য অবশ্যই এম্বাসির সাহায্য নিতে হবে। ঢাকায় তুরস্ক যাওয়ার এম্বাসি রয়েছে। আপনি সেই এম্বাসির মাধ্যমে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনেকেই তুরস্ক এম্বাসি ঠিকানা কোথায় এই তথ্য জানতে চান। দেখে নিন ঢাকা তুরস্ক এম্বাসের নাম ও ঠিকানাঃ
- ঠিকানাঃ ৬, মাদানী এভিনিউ, বারিধারা ডিপ্লোমাটিক জুন, ঢাকা ১২১২.
- যোগাযোগ নাম্বারঃ +৮৮০৯৬০ ৪৮০০১০০, ০১৭০৪ ৯৬৭৯৪৮, ০১৭৩৩৩ ৯১৬৮৬( ইমারজেন্সি নাম্বার)
- ফ্যাক্স নাম্বারঃ ০২৪১০৮ ০৬৫০
- ই-মেইলঃ ([email protected])
- অফিস টাইমঃ প্রতি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে একটা পর্যন্ত। এরপর দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
শেষ কথা
আপনারা অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে তুরস্ক যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু তুরস্ক সম্পর্কে বিভিন্ন বিস্তারিত তথ্য জানেন না। ইতিমধ্যেই আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে তুরস্ক কাজের ভিসা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করেছি। আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন এবং তুরস্ক ভিসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। আপনার যদি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আশে পাশের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে দেখার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ
সৌদি আরবে নাদের কোম্পানি কেমন হবে
ভাল হবে