দুবাই পারশ্য উপসাগরের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত। দুবাই কে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় এবং জনবহুল শহর বলা হয়। দুবাইয়ে প্রচুর পরিমাণে কোম্পানি রয়েছে। তারা তাদের নিজস্ব কোম্পানিতে শ্রমিক দিয়ে বিভিন্ন জিনিস উৎপাদন করে থাকে। এবং কোম্পানির শ্রমিকদেরকে আকর্ষণীয় বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত এখন অনেক মানুষ কোম্পানির কাজের চুক্তিতে দুবাই চলে যাচ্ছে।
কিন্তু সবাই দুবাই যাওয়ার আগে কোম্পানির বেতন কত নির্ধারণ করা হয় এই তথ্যগুলো জানার চেষ্টা করে। কারণ কাজ করার আগে বেতন সম্পর্কে ধারণা রাখা ভালো। কোন এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে দুবাই কোম্পানি ভিসা করলে সঠিক বেতনের খবর জানা যায় না। পরে দুবাই যাওয়ার পর চাহিদা অনুযায়ী বেতন তুলতে পারেন না। আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে এই পোষ্টে দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছি।
দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত
বেতন আপনার সম্পূর্ণ কাজের উপর নির্ভর করবে। মূলত বাহিরের রাষ্ট্রগুলোতে কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করা হয়। প্রতিবছরে দুবাই কোম্পানি থেকে সরকারিভাবে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। অনলাইনের মাধ্যমে অনেকে আছেন এই কোম্পানি ভিসা দুবাই যেতে চাচ্ছেন।
কিন্তু বেতন না জানার কারণে অনলাইনের মাধ্যমে সঠিক দুবাইয়ের কোম্পানিতে কত টাকা বেতন দেয় এই তথ্যগুলো জানার চেষ্টা করতেছেন। আসলে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা যদি ভালো থাকে তাহলে আপনি প্রতি মাসে বেশি টাকা বেতন উত্তোলন করতে পারবেন। এবং কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বেতন কমবেশি হয়।
- দুবাই কোম্পানি ভিসা ড্রাইভিং এর বেতন বাংলাদেশি টাকা প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- দুবাই কোম্পানি ভিসায় ইলেকট্রিশিয়ান এর বেতন বাংলাদেশি টাকা প্রতি মাসে ৭০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- দুবাই কোম্পানি ভিসা প্লাম্বিং এর বেতন বাংলাদেশি টাকা প্রতি ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- দুবাই কোম্পানি ভিসা কনস্ট্রাকশন এর বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৫০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- দুবাই কোম্পানি ভিসা ক্লিনার এর বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
দুবাই কোম্পানি ভিসা ২০২৪
অনেকেই দুবাই কোম্পানি ভিসা গেলে কি ধরনের কাজ করা লাগে এই ধারণা নেই। তারা কোম্পানি ভিসা আবেদন করার আগে সে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করে। কোম্পানি ভিসা গেলে আপনি কয়েকটি ক্যাটাগরিতে কাজ করতে পারবেন। আপনার যে কাজের অভিজ্ঞতা থাকবে সেই কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন। দুবাইয়ে কোন পরিচিত লোক না থাকলে আপনি বাংলাদেশ থেকে এজেন্সির সাহায্যে নিয়ে দুবাই কোম্পানি ভিসা করতে পারবেন। দেখে নিন দুবাই কোম্পানি ভিসা গেলে কি কি কাজ করা যায়।
- কনস্ট্রাকশন।
- ড্রাইভিং।
- মেকানিক্যাল।
- প্লাম্বিং।
- ইলেকট্রিশিয়ান।
- ক্লিনার।
দুবাই কোন কাজের বেতন বেশি
সবাই কাজের উদ্দেশ্যেই দুবাই যাচ্ছেন। কিন্তু দুবাই যাওয়ার আগে কি কাজ করলে প্রতি মাসে বেশি টাকা বেতন পাওয়া যাবে এই তথ্য খুঁজে থাকে। আপনি দুবাই গেলে উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি কাজ করলে অনেক বেশি টাকা উত্তলণ করতে পারবেন। ড্রাইভিং, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বিং, মেকানিক্যাল এই কয়েকটি কাজের দুবাই অনেক চাহিদা রয়েছে। এবং এই কাজগুলো করলে আপনি প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন তুলতে পারবেন।
দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত
যারা নতুন অবস্থায় দুবাই যায়। কিন্তু তাদের প্রথম অবস্থায় কাজের কোন অভিজ্ঞতা থাকে না। তাদেরকে দুবাই অনেক কম বেতন দিয়ে থাকেন। অনেকে যারা নতুন দুবাই যেতে চাচ্ছেন কিন্তু সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন উত্তোলন করতে পারবেন এ তথ্য অনলাইনের মধ্যে খুঁজে থাকেন। আসলে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ দুবাই সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন হয়ে থাকে।
শেষ কথা
আপনারা যারা কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই কোম্পানি ভিসা যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু কোম্পানি ভিসা গেলে প্রতি মাসে কত টাকা বেতন হবে এই তথ্য জানেন না। ইতিমধ্যেই আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে দুবাই কোম্পানির ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করেছি। আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন এবং দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত এই তথ্য জানতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত আমরা এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শেয়ার করে থাকি। ধন্যবাদ
Thanks for publish working salary different country in the world.