অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা খরচ ২০২৪

ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গঠিত হয়েছে। তবে এ দেশটির মোট আয়তন ৭৬,১৭,৯৩০ বর্গ কি.মি.। এবং অস্ট্রেলিয়া হলো ওশেনিয়া মহাদেশের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। এছাড়াও আয়তনের দিক থেকে এই অস্ট্রেলিয়া ওশেনিয়ার সর্ব বৃহ‌ৎ রাষ্ট্র ও পৃ্থিবীর ৬ষ্ঠ বৃহত্তম রাষ্ট্র। খুব কম সংখ্যক বাংলাদেশী নাগরিক বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া অবস্থানরত আছেন।

তবে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ২০ হাজারের অধিক নাগরিক অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী হিসেবে বসবাস করছেন। এমনকি প্রতিনিয়ত এই অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের বহু নাগরিক ভিসা তৈরি করছেন। বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায়।

তবে কাজের ভিসার মধ্যে আবার অনেকগুলো ক্যাটাগরি হয়ে থাকে। যেগুলো অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসার চাহিদা অনেক। তাই আপনি যদি একজন বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে থাকেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চাচ্ছেন। তাহলে এই পোস্ট থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ভিসার খরচ সহ অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা খরচ

এই অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে পৃথিবীর ১২ তম বৃহত্তম অর্থনীতির একটা দেশ। এবং এই অস্ট্রেলিয়ার মাথাপিছু আয় এর দিক থেকে রয়েছে দশম। এছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এই অস্ট্রেলিয়ার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই অস্ট্রেলিয়ার প্রচুর সংখ্যক কাজের সুযোগ রয়েছে। এবং অল্প পরিশ্রমে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করারও সুযোগ রয়েছে। হাজারো বাংলাদেশী নাগরিক রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত এই ইউরোপীয় দেশগুলোতে পৌঁছানোর জন্য বেশ আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে থাকেন।

কিন্তু কোনভাবেই ভিসা তৈরি করতে পারেন না। এক্ষেত্রে আপনারা চাইলে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছাতে পারেন। এক্ষেত্রে পূর্বের থেকে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার খরচ আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা দাম কত ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে এবং বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কাজের ভিসা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যায়। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা বর্তমানে চালু রয়েছে। তাই আপনি চাইলে সরকারিভাবে অথবা কোন এজেন্সির সাহায্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

এক্ষেত্রে নূন্যতম একটি  কাজের বিসার জন্য আপনার খরচ হতে পারে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। তবে সরকারিভাবে যদি সহায়তার সাহায্যে কাজের ভিসা পেয়ে থাকেন এক্ষেত্রে আপনার ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হলেই চলবে। এছাড়া বিভিন্ন এজেন্সি এবং দালালদের সাহায্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছাতে চাইলে আপনার মোট খরচ হতে পারে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা কত টাকা লাগে

এই অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার মধ্যে কৃষিকাজ, হোটেল ক্লিনার, ড্রাইভি, ফুড প্যাকেজিং, লেবার ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। তবে এ কাজের ভিসার মধ্যে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরী হওয়ায় ভিসা তৈরি করতে এর আলাদা আলাদা খরচ হয়ে থাকে। আর প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়া কাজের জন্য বিভিন্ন শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন।  তাই আপনি যে কাজে বেশি দক্ষ সেই কাজের জন্য ভিসা তৈরি করুন।

অর্থাৎ সার্কুলার অনুযায়ী ভিসা তৈরি করতে সরকারিভাবে ২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা হলেই অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা তৈরি করা যায়। এবং কোন এজেন্সির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা তৈরি করলে ৮ লাখ থেকে ৯ লাখ টাকা খরচ হয়। অতএব কাজের ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী কোন ভিসার জন্য কত টাকা খরচ হয় তা নিচে বিস্তারিত জেনে নিন।

  • মেকানিক্যাল এই কাজের ভিসার দাম ন্যূনতম ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
  • কনস্ট্রাকশন ভিসা ন্যূনতম ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা।
  • ইলেকট্রনিক্স ভিসা ন্যূনতম ৩ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
  • ড্রাইভার ভিসা ন্যূনতম ৬ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
  • হোটেল ভিসা নূন্যতম ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা।
  • ফুড প্যাকেজিং কাজের ভিসা ন্যূনতম ৭ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
  • লেবার ভিসা ন্যূনতম ৬ থেকে ৮‘ লক্ষ টাকা।
  • ক্লিনার ভিসা ন্যূনতম ৫ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা।
  • কৃষি কাজের ভিসার ন্যূনতম ৬ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।

অর্থাৎ কোন এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে চাইলে ন্যূনতম ৫ লক্ষ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এবং সার্কুলার অনুযায়ী সরকারি ভাবে ভিসা তৈরি করতে গেলে এই খরচ ৫০ শতাংশ কমে যায়।

অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

সবসময়ই চেষ্টা করবেন বৈধভাবে কোন দেশে প্রবেশ করার জন্য। অবৈধভাবে প্রবেশ করলে আপনার জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং নানা রকম বিপদে পড়তে পারেন। তাই বৈধভাবে প্রবেশ করার জন্য কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তা নিচের তালিকা থেকে দেখে নিন।

  • বৈধ পাসপোর্ট লাগবে।
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি লাগবে।
  • সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর চার কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
  • স্বাস্থ্য বীমা।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে।
  • করোনা ভাইরাস টিকার কার্ড লাগবে।
  • IELTS পরীক্ষার স্কোর সর্বনিম্ন ৬ থাকতে হবে।
  • সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৪৫ বছর থাকতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা কি কি

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন কাজ রয়েছে। যে ভিসা তৈরি করে আপনি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন। তবে এসব ভিসা পাওয়া অনেক অনেক বেশি কঠিন। ইতিমধ্যে এ সকল ভিসার দাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার জেনে নিন অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা কি কি হয়ে থাকে।

  • কনস্ট্রাকশন এর কাজ।
  • মেকানিক্যাল এর কাজ।
  • ড্রাইভার এর কাজ।
  • ইলেকট্রিক্যাল এর কাজ।
  • কৃষি কাজ।
  • ক্লিনার এর কাজ।
  • লেবারের কাজ।
  • হোটেলের কাজ।

শেষ কথা

আশা করতেছি ইতিমধ্যে এই আলোচনা থেকে আপনারা অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা খরচ কত তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরী হওয়ায় আলাদা আলাদা খরচ হয়ে থাকে। অতএব এই পোস্ট আপনার কাছে উপকৃত মনে হলে অন্যদের মাঝে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ 

Leave a Comment