তুরস্ক ভিসার দাম কত ২০২৪

এই তুরস্ক পশ্চিম এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। তুরস্কের প্রায় পুরোটাই এশীয় অংশে অবস্থিত। এবং তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা আনাতোলিয়াতেই অবস্থিত। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে যেতে চান। তাহলে আপনাকে বাংলাদেশের কোন প্রাইভেট এজেন্সি অথবা  সরকারি কোন এজেন্সি থেকে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আপনি তুরস্কে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কাজের ভিসায় তুরস্কে পৌঁছাতে চান। এক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট সহ বিভিন্ন কাজের জন্য সেখানে পৌঁছাতে পারেন। তবে আজকের পোস্ট থেকে জেনে রাখুন বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক ভিসার দাম কত।

তুরস্ক ভিসার দাম কত

কোন ভিসার দাম কত টাকা পড়বে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ভিসার ক্যাটাগরির উপর। যেহেতু আপনি স্টুডেন্ট ভিসা সহ টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন। যেহেতু ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার  আবেদন ফি সহ যাবতীয় খরচের অনেকটা পার্থক্য হয়ে থাকে।

দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরের মত শ্রমিক ভিসা বর্তমানে তুরস্কের অনেকেই পোছাচ্ছেন। এবং এই তুরস্কে অনেক কাজ পাওয়া যাচ্ছে,তাই অনেক বাংলাদেশী নাগরিককে তুরস্কে যাওয়ার জন্য দেখা যাচ্ছে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশী নাগরিক খুব কম সংখ্যক লোক তুরস্কে বসবাস করছেন। অতএব সম্পূর্ণ পোস্ট বিস্তারিত পড়ে তুরস্কের ভিসার দাম কত তার জেনে নিন।

তুরস্ক যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে বর্তমানে তুরস্কে অনেক কেই যেতে দেখা যাচ্ছে। তবে কেউ কেউ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় তুরস্কে পৌঁছাচ্ছেন। আবার কেউ স্টুডেন্ট ভিসায় সেখানে পৌঁছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ করছেন। তবে বর্তমানে তুরস্কে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা চালু আছে। এক্ষেত্রে তুরস্কে যেতে মোট কত টাকা লাগে তা জেনে নেওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

অর্থাৎ দুইভাবে আপনি তুরস্কে যেতে পারবেন, প্রথমত হচ্ছে সরকারিভাবে, আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে কোন দালালদের সাহায্য নিয়ে। তবে জেনে রাখুন যদি তুরস্কে কোন দালালদের মাধ্যমে পৌঁছে থাকেন বা পৌঁছাতে চান। তাহলে আপনার কাছ থেকে মোট ৭ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করতে পারে।

এবং যদি সরকারি ভাবে তুরস্কের যাওয়ার জন্য কোন ভিসা সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনার ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হলেই একটি ভিসা পেয়ে যাবেন এবং সেখানে পৌঁছাতে পারবেন। তবে তুরস্কের যাওয়া পূর্বে আপনার অবশ্যই এ https://www.visa.gov.bd/ লিংকে প্রবেশ করে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করুন।

তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

যদি বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে ওই দেশে বসবাসকারী কোন ব্যক্তির সাহায্য আপনাকে নিতে হবে। এতে করে আপনার তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে অনেকটা সহজ হবে। অর্থাৎ আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসা পাওয়ার জন্য নিকটতম তুর্কি মিশনে আবেদন করতে হবে।

তুরস্কের ভিসা পেতে আবেদন করার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের দরকার হয়। অর্থাৎ সবার পূর্বে আপনাকে আবেদন করতে হবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য। আবেদন করার জন্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার জন্য ফি প্রযোজ্য হবে ৫৮ ইউএসডি ডলার। এবং ডাবল এন্ট্রির জন্য ভিসা ফি প্রযোজ্য হবে ১১৬ ইউএসডি ডলার। এবং মাল্টিপল এন্ট্রির জন্য ভিসা ফি প্রযোজ্য হবে ১৯৪ ইউএসডি ডলার।

তুরস্ক কাজের ভিসা দাম কত

তুরস্কের কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে ৫৫০০ থেকে ৬০০০ টাকায় আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। এবং সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে তুরস্কের কাজের ভিসার দাম আনুমানিক আপনাদেরকে জানাতে গেলে সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা হবে। এবং সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আর যদি দালালদের মাধ্যমে তুরস্কের কাজের ভিসায় যেতে চান তাহলে এর থেকে বেশি খরচ হতে পারে।

তুরস্ক টুরিস্ট ভিসা দাম কত

বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে যেতে হলে আপনাকে টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে হবে। এবং আবেদনের মূল্য ফি সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে টুরিস্ট ভিসায় তুরস্কে আপনি ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত বৈধভাবে সেখানে অবস্থান করতে পারবেন। তবে তুরস্কের টুরিস্ট ভিসার দাম সবনিম্ন তিন থেকে চার লক্ষ টাকা হবে।

তুরস্ক স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত

স্টুডেন্ট ভিসার ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে তিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত। এমনকি সেখানে উচ্চ শিক্ষার জন্য আপনি এক বছর থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সেখানে থাকতে পারবেন বৈধতা অনুযায়ী। তবে  সরকারি ভাবে যদি স্টুডেন্ট ভিসা পেতে চান এক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং এ খুব অল্প টাকায় খরচ হবে। এবং ওই দেশে যেতে মোট দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে।

তুরস্ক কাজের বেতন

ওই দেশের ন্যূনতম কাজের বেতনের পরিমাণ প্রতি মাসে ৩০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এবং কাজের ধরন এবং তাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এ বেতন প্রতি মাসে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা হতে পারে। অর্থাৎ তুরস্কের অবস্থানকৃত একজন ব্যক্তির সর্বনিম্ন বেতন ৪০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা।

তুরস্ক কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমানে তুরস্কে বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, DevOps, ক্লাউড সিস্টেম, সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা এবং অটোমেশন বিশেষজ্ঞ কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। এমনকি ওই দেশে সরকার এসব কাজের উপর বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা গিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ সেখানে করতে পারবেন। 

শেষ কথা

আশা করতেছি এ পোস্ট থেকে আপনারা তুরস্ক ভিসার দাম কত বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।  কয়েকটি ভিসার ক্যাটাগরি নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে ভিসা ভিসা হোক তুরস্কে যেতে কত টাকা লাগে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এ পোস্ট থেকে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ

Leave a Comment