বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবগুলো দেশের থেকে অর্থনৈতিক দিক থেকে কুয়েত উন্নত দেশ। সবাই এখন কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েত চলে যাচ্ছে। কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে। তাদের কোম্পানি অনুযায়ী শ্রমিক অনেক কম। এই কারণে প্রতিবছরেই অন্যান্য দেশ থেকে কোম্পানির কাজের জন্য সরকারিভাবে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। অনেকেই কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদন করার আগে বেতন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে।
অন্যান্য দেশের তুলনায় কুয়েতের কোম্পানি ভিসা গেলে বেশি টাকা বেতন পাওয়া যায়। এবং আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন কমবেশি হতে পারে। কোম্পানিতে অনেকগুলো পদবী রয়েছে। আপনার যোগ্যতা যদি ভালো থাকে তাহলে আপনি বেশি টাকা বেতনের উত্তলন করতে পারবেন। এবং নতুন অবস্থায় গেলে একটু কম টাকা বেতন পাওয়া যায়। বিভিন্ন কাজের কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত জানতে চাইলে আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
সবাই কুয়েত কোম্পানি ভিসায় যাওয়ার আগে আসল বেতন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। কারণ এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে ভিসা করলে সঠিক বেতন জানা যায় না। তারা অনেক সময় গ্রাহকদের কাছে মিথ্যা প্রলোভনা দেয়। মূলত কোম্পানির ধরন এবং আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হবে। কুয়েত অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে। এবং কোম্পানি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন কাজ করতে হয়। বিভিন্ন কাজের আলাদা আলাদা বেতনের ধারণ করা আছে। আপনাদের সুবিধার্থে কোম্পানির বিভিন্ন কাজের বর্তমান বেতন উল্লেখ করেছি।
কুয়েত কোম্পানি কাজের ধরন | বেতন |
কোম্পানির হেল্পার এর কাজ | ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। |
কোম্পানির ওয়েল্ডার এর কাজ | ৩৮ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা। |
কোম্পানির প্লাম্বার এর কাজ | ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। |
কোম্পানির ডেলিভারি বয় এর কাজ | ৪৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা । |
কোম্পানির ড্রাইভিং এর কাজ | ৫৫ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা। |
কোম্পানির ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ | ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। |
কোম্পানির কন্সট্রাকশন এর কাজ | ৪৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। |
কুয়েত কোম্পানি ভিসা কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমান সময়ে কুয়েত যাওয়ার ভিসা চালু রয়েছে। অনেকেই এজেন্সির সাহায্যে অথবা দালালের মাধ্যমে কুয়েতের কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে। আপনি কুয়েতে কোম্পানি ভিসা গেলে কয়েকটি ধরনের কাজ করতে পারবেন। সবাই কুয়েতে যাওয়ার আগে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে এই তথ্যগুলো খুঁজে থাকে। কুয়েত কোম্পানি ভিসা সবসময়ই এই কাজগুলো করতে পারবেন। প্রচুর পরিমাণে এই কাজগুলোর চাহিদা রয়েছে।
- কনস্ট্রাকশন।
- ড্রাইভিং।
- মেকানিক্যাল।
- ক্লিনার।
- ওয়েল্ডার
- ইলেকট্রিশিয়ান।
কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
সবচেয়ে কুয়েতে টাকার মান বেশি হওয়ার কারণে প্রত্যেকেই কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েতে চলে যাচ্ছে। অনেকেই কুয়েতে যাওয়ার আগে বেতেন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। কুয়েতে অনেকগুলো ভিসার ক্যাটাগরি রয়েছে। ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হয়। নতুন অবস্থায় কুয়েতে গেলে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন উত্তোলন করতে পারবেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজন
আপনি যদি কুয়েতের ভিসা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রমাণপত্র হিসাবে কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে। বর্তমানে কুয়েতের কোম্পানি ভিসার অনেক চাহিদা রয়েছে। সবাই এখন এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে কোম্পানির ভিসার জন্য আবেদন করতেছেন। কোম্পানির ভিসা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে। দেখে নিন কোম্পানির ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- ৬ মাস মেয়াদ সম্পূর্ণ বৈধ পাসপোর্ট।
- চারিত্রিক সনদপত্র।
- প্রথম আবেদনের জন্য কোম্পানির নিবন্ধনপত্র থাকতে হবে।
- কুয়েতের কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট।
- আপনার কাজের অভিজ্ঞতার প্রমান পত্র।
- কুয়েতের কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বুঝার জন্য একটি ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট।
- মেডিক্যাল সার্টিফিকেট।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স।
শেষ কথা
আপনারা যারা কুয়েত কোম্পানির ভিসা যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমান কোম্পানির কাজের প্রারিশ্রমিক কত এই তথ্যগুলো জানেন না। অনেকই কুয়েত যাওয়ার আগে বেতন সম্পর্কে অনলাইনে খুঁজে থাকেন। ইতিমধ্যেই আপনাদের সুবিধার্থে কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছি। আশা করি, আপনি আমাদের এই সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়েছেন এবং কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ