কিডনি বিক্রি দাম ২০২৪

একজন মানুষের শরীরের অঙ্গ পতঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কিডনি। সাধারণত একটি মানুষের শরীরের দুটি কিডনি থাকে। বৈজ্ঞানীদের মতে একজন মানুষের শরীরে একটি কিডনি ৩০% পর্যন্ত ভালো থাকলে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারে। অনেকেই বিভিন্ন কারণে একটি কিডনি বিক্রি করে দেয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের কোন হাসপাতালে মানুষের কিডনি কেনা বেচা হয়।

সবাই কিডনি বিক্রি করার আগে অথবা ধারণা নেওয়ার জন্য সঠিক তথ্য এবং দাম জানার চেষ্টা করে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গের মধ্যে কিডনি অনেক বেশি টাকা দামে বিক্রি করে। কারণ খুব সহজেই কিডনি পাওয়া যায় না। বাংলাদেশ কিডনি  বেচাকেনা নিষিদ্ধ থাকায় প্রকাশে কেউ বিক্রি করতে পারে না। কিন্তু এর আগে থেকেই কিডনি বিক্রি নিষিদ্ধ রয়েছে। কিডনি বিক্রি দাম কত জানতে এই পোস্টটি পড়তে থাকুন।

কিডনি বিক্রি দাম

বিভিন্ন দরে কিডনি ক্রয় বিক্রয় করা হয়। মানুষের প্রয়োজন অনুসারে কিডনির দাম উঠা নামা করে। অনেকেই গরিব মানুষ রয়েছে তারা টাকার প্রয়োজনে নিজের শরীরের কিডনি বিক্রি করে দেয়। একটি কিডনি বিক্রি করলে খুব সহজে একটি মানুষ চলা ফেরা করতে পারে। কিছু মানুষের কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে তারা কিডনি ক্রয় করে আবার শরীরে স্থাপন করে। কিছুদিন আগে সংবাদপত্রের মাধ্যমে কিডনি বিক্রির দাম প্রকাশ পেয়েছে। বর্তমান শরীরের কিডনি বিক্রি হচ্ছে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা।

জীবিত মানুষের কিডনির দাম

জীবিত মানুষের কিডনির দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। অনেকে রয়েছে তারা নিঃস্বার্থভাবে কিডনি বিক্রি করে। আবার কিছু মানুষ রয়েছে তারা বিনা স্বার্থে বিভিন্ন মানুষের প্রয়োজনে জীবিত মানুষগুলো কিডনি দান করে দেয়। বিভিন্ন বয়সের ক্ষেত্রে কিডনির দাম আলাদা ভাবে নির্ধারিত রয়েছে। আপনি যদি তরুণ প্রজন্মের ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হয়ে থাকেন তাহলে কিডনির দাম ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। এবং একটু প্রাপ্তবয়স্ক ৩৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত হলে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কিডনি বিক্রি করতে পারবেন।

বাংলাদেশে একটা কিডনির দাম কত টাকা

বর্তমানে বাংলাদেশে যে কোন জায়গা এবং হসপিটালে কিডনি বিক্রি নিষিদ্ধ রয়েছে। প্রকাশে একজন মানুষ কখনোই বাংলাদেশ কিডনি বিক্রি করতে পারবেনা। কিছুকাল বাজারে ব্যবসায়ী রয়েছে তারা মানুষের কিডনি ক্রয় করে বেশি দামে কিডনি বিক্রি করে থাকে। বাংলাদেশে একটি কিডনি অনেক বেশি টাকা দামে ক্রয় বিক্রয় করা হয়।

এবং বয়সের উপর ভিত্তি করে কিডনির দাম নির্ধারিত রয়েছে। একজন মানুষ অনায়াসে একটি কিডনি বিক্রি করে চলাফেরা করতে পারে। আপনি যদি একটি ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে মানুষের কিডনি ক্রয় করতে চান তাহলে খরচ হবে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একটি কিডনি ক্রয় করতে খরচ হবে ৩ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ছয় লক্ষ টাকা।

কিডনি কোথায় বিক্রি করা যায়

নির্দিষ্ট কোন কিডনি বিক্রি করার বাংলাদেশে কোন জায়গা নেই। কারণ কিডনি বিক্রি নিষিদ্ধ থাকায় অনেকেই গোপনে কেনা বেচা করে থাকে। কিছু মানুষ রয়েছে তারা বিভিন্ন প্রয়োজনে কিডনি কোথায় বিক্রি করা হয় এই তথ্যগুলো জানার চেষ্টা করে। এবং অনেক মানুষ তারা নিজের কিডনি বিক্রি করার জন্য কোথায় গেলে কিডনি বিক্রি করা যাবে তথ্যগুলো অনলাইনে জানতে চায়। বিভিন্ন হসপিটালে এই কিডনি গোপনে কেনা বেচা করা হয়। নিষিদ্ধ থাকায় আপনি কোন হসপিটালে কিডনি বিক্রি করতে পারবেন না।

শেষ কথা

কিছু মানুষ রয়েছে তারা টাকার অভাবে বিভিন্ন প্রয়োজনে নিজের শরীরের একটি কিডনি বিক্রি করার চেষ্টা করে। সবাই কিডনি বিক্রি করার আগে সঠিক দাম জানতে চায়। বর্তমানে অনেকেরই মানুষের কিডনির দাম সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে কিডনি বিক্রি দাম উল্লেখ করেছি। আশা করি, আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ে সঠিক কিডনির দাম কত জানতে পরেছেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment