জমি রেজিস্ট্রি খরচ 2024

বর্তমান সময়ে জমির দাম দিন দিন অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যের রেজিস্ট্রেশন খরচ পাচ্ছেন। এতে করে সরকারের রাজস্ব আদায় অনেকটা হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে জমি রেজিস্ট্রেশনের উৎসে কর বাড়ানো হচ্ছে। তাই যারা ইতিমধ্যে জমির ক্রয় করছেন, তাদের জন্য অবশ্যই জমি রেজিস্ট্রি খরচ জেনে নেওয়া সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।

তাই কত টাকা ও কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে খরচ হয় তা আজকের আলোচনা বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ২০২৩-২৪ অনুযায়ী বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায় রেজিস্ট্রেশনের সময় দলিলে লিখিত মূল্যের এক শতাংশ রেজিস্ট্রেশন ফি,এক দশমিক ৫০ শতাংশ স্ট্যাম্প শুল্ক, এলাকাভেদে স্থানীয় সরকার কর ২-৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাই সঠিক ভাবে জমি রেজিস্ট্রি খরচ সম্পর্কে জানতে এই পোস্ট শেষ করার জন্য দেখুন।

জমি রেজিস্ট্রি খরচ 2024

একটি জমি ইউনিয়ন পর্যায়ে নাকি শহর এলাকায় সেটা অনেকটা একটি বিবেচ্য বিষয়। জমির রেজিস্ট্রি করার খরচ টা এলাকা ভেদে অনেকটা ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে একজন ব্যক্তি নিজে নিজে চাইলে জমি রেজিস্ট্রেশন খরচ দেখে নিতে পারেন। তবে অবশ্যই জমির ধরন এবং জমির নির্ধারিত প্রকৃত মূল্যের উপর এই জমির রেজিস্ট্রেশন খরচ অনেকটা নির্ভর করে।

তবে বিক্রয়কারী কাছ থেকে জমির প্রকৃত লিখিত মূল্যের ওপর ১ শতাংশ টাকা নির্ধারিত হিসাব করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয় ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে। কিন্তু দলিল সাব রেজিস্টার অফিসারের উপস্থিতিতে সেটি রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এ ছাড়া জমি রেজিস্ট্রেশন করার সময় বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো খরচ হয়ে থাকে। যেগুলো নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

জমি রেজিস্ট্রি করতে কত টাকা খরচ হয়

আপনার ক্রয় করার জমির রেজিস্ট্রেশন খরচ অবশ্যই এলাকা বেদে বিভিন্ন রকম হবে। যদি আপনি নিজে নিজেই জমি রেজিস্ট্রি খরচ কত টাকা হিসাব করতে চান। এক্ষেত্রে আপনি দুটি মাধ্যমে একজন রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা খরচ হয় বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রথমত হচ্ছে ওয়েবসাইট বা মোবাইল এপসের মাধ্যমে আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে সাধারন ভাবে হিসাব করে।

যদি অনলাইনের জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে চান এক্ষেত্রে এই লিংকে(https://fees.dolil.com/)  আপনাকে মোবাইল অথবা ল্যাপটপ, কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। আর যদি সাধারণভাবে হিসাব করতে চান এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রির জন্য স্ট্যাম্প শুল্ক, রেজিস্ট্রি ফিস, অতিরিক্ত কর, উৎস কর, জেলা-পৌরকর ইত্যাদি ফিস ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪ গেজেট

যেভাবে জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করবেন তা হচ্ছেঃ ধরুন, বর্তমান জমির মূল্য আছে ৬ লক্ষ টাকা অর্থাৎ এটা প্রকৃতি মূল্য। এক্ষেত্রে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন ফি মোট মূল্যের এক শতাংশ টাকা দিতে হবে সরকারকে। আবার স্ট্যাম্প শুল্কের জন্য ১.৫% টাকা। আবার স্থানীয় সরকার কর মোট মূল্যের ৩% টাকা। আবার উৎস কর জেলা সদরের পৌরসভা ব্যতীত অন্যান্য পৌরসভার ক্ষেত্রে মোট মূল্য ২ শতাংশ টাকা।

এক্ষেত্রে আপনার ৬ লক্ষ টাকার জমির রেজিস্ট্রেশন ফি ১% হবে ৬০০০ টাকা। আবার স্ট্যাম্প শুল্ক ১.৫ শতাংশ হবে ৯০০০ টাকা। স্থানীয় সরকার কর ৬,০০,০০০ এর ৩% = ১৮০০০ টাকা। উৎসে কর ৬,০০,০০০ এর ১% = ৬০০০ টাকা। ই ফি ১০০ টাকা। হলফনামা স্ট্যাম্প ২০০ টাকা। এন ফি ১৬০ টাকা। এনএন ফি ২৪০ টাকা। কোর্ট ফি ১০ টাকা।

শেষ কথা

আশা করছি ইতিমধ্যে এই আলোচনা থেকে বর্তমানে জমি রেজিস্ট্রি খরচ সম্পর্কে সঠিক এবং বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। তবে পূর্বের থেকে আর জমি রেজিস্ট্রি খরচ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কতটা বৃদ্ধি পেয়ে আজকের আলোচনার উপরে তা উল্লেখিত করা হয়েছে। আশা করছি ইতিমধ্যে এই পোস্ট থেকে সঠিক তথ্য জেনে নিয়েছেন। যদি এই পোস্ট আপনার কাছে উপকৃত মনে হয় তাহলে অন্যদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment