গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার কত 2024

বাংলাদেশে ১৯৮৩ সাল থেকে গ্রামীণ ব্যাংক সঠিকভাবে সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্বের মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প হিসাবে অনেক জনপ্রিয়তা এবং সুপরিচিতি লাভ করেছে। এ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ ইউনুস ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে। জনগণের সুবিধার্থে তারা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অল্প সুদ হারে ঋণ দিয়ে থাকে।

জনগণ এখন কোন সমস্যায় পড়লে অথবা বিভিন্ন কারণে টাকার প্রয়োজন হলে তারা সরাসরি গ্রামীণ ব্যাংকে থেকে লোন নিয়ে থাকে। কৃষি কাজ থেকে শুরু করে গবাদি পশু পালন এবং আরো বিভিন্ন খাতের জন্য টাকা উত্তোলন করা যায়। আপনাকে আবার ৪৪ কিস্তিতে কিছু লাভাংশ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বিস্তারিত গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার কত জানতে এই পোস্টটি পড়তে থাকুন।

গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার কত

বাংলাদেশে এখন সকল জেলা উপজেলা এবং বিভাগে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা রয়েছে। বর্তমান ২৫৬৫ টি শাখা নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক জনগণের সুবিধার্থে ঋণ প্রদান করে থাকে। এই ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রায় অনেক মানুষের কর্ম তৈরি হয়েছে। তারা বিভিন্ন ভাবে সুধারে ঋণ দিয়ে থাকে। বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংকে কৃষি ঋণ উত্তোলন করলে আপনার সুদ ধরা হবে ৬%। এবং আরো অন্যান্য ঋণ অনুযায়ী সুদের হার কমবেশি রয়েছে। শিক্ষা ঋণ এবং গবাদি পশু ঋন সহ এগুলোতে বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

গ্রামীণ ব্যাংক ডিপিএস নিয়ম

অনেকেই এখন নিজের টাকা সঞ্চয় করে রাখার জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের ডিপিএস করে। প্রতি মাসে কিছু কিছু টাকা প্রদান করে আপনি একেবারে মেয়াদ শেষ হলে সবগুলো টাকায় উত্তোলন করতে পারবেন। টাকা এত বছর রাখার জন্য আপনাকে মেয়াদ শেষে কিছু লাভাংশ প্রদান করবে।

ডিপিএস মূলত ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী পাঁচ হাজার অথবা ১০ হাজার টাকা প্রদান করতে পারবেন। এবং তিন বছর থেকে ১০ বছর অথবা ১৫ বছর পর্যন্ত ডিপিএস এর মেয়াদ করা যায়। যত বেশি মেয়াদ থাকবে তত লাভাংশ বেশি টাকা পাবেন। সর্বনিম্ন ৬ পার্সেন্ট থেকে শুরু করে ১০% পর্যন্ত ডিপিএস এ লাভাংশ পাওয়া যায়।

গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি

জনগণের সুবিধার্থে কয়েকটি পদ্ধতিতে গ্রামীণ ব্যাংক লোন প্রদান করে। আপনি যে কাজের উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন সেই কাজের প্রমাণ দেখিয়ে আপনি গ্রামীণ ব্যাংকে থেকে লোন উত্তোলন করতে পারবেন। এখন অনেকে ব্যবসার ক্ষেত্রে অথবা কৃষি কাজের জন্য পড়াশোনার শিক্ষারীন সহ আরো বিভিন্ন ঋণ প্রদান করে থাকে। দেখে নিন গ্রামীণ ব্যাংকের লোন নেওয়ার পদ্ধতি গুলো।

  1. ক্ষুদ্র ঋণ।
  2. শিক্ষা ঋণ।
  3. কৃষি ঋণ।
  4. পশুসম্পদ ঋণ।
  5. উদ্যোক্তা ঋণ।
  6. ব্যক্তিগত লোন।

গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা

অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় গ্রামীণ ব্যাংকে সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যে কোনো সময় গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন করতে পারবেন। আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই জমা দিতে হবে। এবং সবচেয়ে গ্রামীণ ব্যাংকে ঋণ প্রকল্প বেশি ক্যাটাগরিতে প্রদান করে থাকে। এবং সুদের হার অনেক কম পাওয়া যায়।

  • প্রাথমিক অবস্থায় আপনি সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন উত্তোলন করতে পারবেন।
  • খুব সহজে প্রয়োজনের ডকুমেন্টস গুলো জমা দিয়ে লোন নিতে পারবেন।
  • প্রতিমাসে মাসিক কিস্তিতে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
  • আপনার ছবি দাও অনুযায়ী কৃষি লোন ক্ষুদ্র লোনসহ আরও বিভিন্ন লোন গ্রহণ করতে পারবেন।

শেষ কথা

আপনারা যারা গ্রামীণ ব্যাংকে থেকে ঋণ নিতে চাচ্ছেন। অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংক জনগণকে বেশি সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। এবং সবচেয়ে সুদের হার কম পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার কত আপডেট তথ্য উল্লেখ করেছি। আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন এবং গ্রামীন ব্যাংকের বিস্তারিত সুদের হার কত জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment