বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশ পরিবর্তনশীল দেশ। বর্তমান বাংলাদেশ নানা দিক আগের তুলনায় বেশ পরিবর্তন হয়েছে। এখন পেছনে থাকার নয় বাংলাদেশ। একটি করে দিন যাচ্ছে আর পরিবর্তন হচ্ছে নতুন কিছু তৈরি হচ্ছে। এবং নিয়ম-কানুন আইন সবকিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। সেরকমই বাংলাদেশের যেকোনো রোডে আপনি যান চলাচল করতে যান না কেন অবশ্যই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া আপনি কোনভাবেই এখন আর বাংলাদেশের রোডে যান চলাচল করতে পারবেন না। তাই এখন চায় সকলেই যেন নিয়ম মেনে তারপর যা চলাচল করতে পারে। ড্রাইভিং লাইসেন্স এখন সবার জন্যই রয়েছে। পেশাদার এবং অপেশাদার সবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন।
তাই অনেকেই অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফ্রি কত টাকা তা খুজে থাকেন। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত টাকা ২০২৪ তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যারা এখনো ড্রাইভিং লাইসেন্স করেননি অবৈধভাবে যান চলাচল করে থাকেন তারা অবশ্যই এই প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে ডাইভিং লাইসেন্স করে ফেলুন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত টাকা ২০২৪
গাড়ি চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স ফ্রি সাধারণত আপনি কি যানবাহন চালান তার উপর নির্ভর করে থাকে। কেননা একেক যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স ফ্রি ভিন্ন ভিন্ন। এবং এর মধ্যে পেশাদার এবং নন পেশাদার রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে ছিল ২৫৪৫ টাকা, বছরের শুরুতেই অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফি ১৬২০ টাকা বাড়িয়ে তা ৪১৫৫ টাকা করা হয়েছে। অপরদিকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে তা ২৪৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পূর্বে ছিল ১৬৮০ টাকা। যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্স করলেই হবে না এর পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে যে যানবাহন টি চালাবেন তার বৈধতা করে নিতে হবে বা রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ফি আগের তুলনায় বেড়েছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নতুন ফ্রি কত টাকা
যেহেতু বাংলাদেশের সকল জিনিসপত্রের দাম বা রেজিস্ট্রেশন কি বা যেকোনো ধরনের ফ্রি পূর্বের তুলনায় বর্তমানে অনেকটাই বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। দিন কে দিন জনসাধারণের যে রকম চাহিদা বেড়েছে, সেরকম যানবাহন বা মোটরসাইকেলের ও পূর্বের তুলনায় অনেক চাহিদা বাড়ার কারণে নানা ধরনের রেজিস্ট্রেশন কি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেছেন বাংলাদেশ সরকার। পূর্বে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে লাগতো ২৫৪৫ টাকা, কিন্তু এবছর তা বেড়ে ৪১৫৫ টাকা হয়েছে। যা পূর্বের তুলনায় ১৬২০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে একটি নতুন মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন কি ১২ হাজার ২৭০ টাকা।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি
সাধারণত পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পড়তে আমরা বুঝি যে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আপনি সকল ধরনের যানবাহন চালনা করতে পারবেন এবং বেতনভুক্ত অবস্থায় থাকবেন তাকে সাধারণত পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলা হয়। এবং কি এই পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর হয়ে থাকে। পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়, ৫ বছর পরপর নবায়ন করার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হয় এবং ব্যবহারিক পরিক্ষাও দিতে হয়।
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলতে আমরা বুঝি সাধারণত নিজস্ব যানবাহন চালনা করে থাকে যে ব্যক্তি। এটা সাধারণত ব্যক্তিগত ড্রাইভিং লাইসেন্স বলা হয়ে থাকে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আপনি নিজস্ব এবং যানবাহন এবং নিজস্ব জেলায় চলাচল করতে পারবেন তাকে সাধারণত অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করা হয় থাকে। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছর। পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন নেই, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে নবায়ন করার জন্য কোনো পরিক্ষার প্রয়োজন হয়না। এটা দিয়ে হালকাযান চালাতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে
সাধারণত যারা যান চলাচল করে থাকেন তারা সচারচর ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যে সকল কাগজপত্র লাগে তা হয়তো অনেকেই অবগত নন। এবং কি দেখা যায় ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গিয়ে বিভিন্ন কাগজ পত্র বাড়িতে ফেলে রেখে যান। তাই তাদের সুবিধার্থে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যে সকল কাগজ পত্র লাগে তা নিচে দেওয়া হলো।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন;
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য);
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড -এর সত্যায়িত ফটোকপি;
৪। নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদের বিআরটিএ কপি;
৫। সদ্য তোলা ০২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি;
ডুপ্লিকেট লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া :
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
৩। নির্ধারিত ফী বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৪। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
বর্তমান বাস,টাক, মাইক্রো, প্রাইভেটকারের যুগে এখন মোটরসাইকেলের প্রচলন বেড়েছে বহুগুণ। এখন দেখা যায় প্রত্যেক মানুষের হাতে হাতে মোটরসাইকেল। কিন্তু রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে অনেকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় অনৈতিকভাবে রোডে চলাচল করে থাকেন। তারা অবশ্যই মোটরসাইকেল বৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন করুন এবং মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স সহজে করে ফেলুন। মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে ৪১৫৫ টাকা লাগে। তাই কেউ দেরি না করে তারা এখনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল চালনা করছেন তা অতি শীঘ্রই ড্রাইভিং করে রাখন।
সর্বশেষ কথা
আজকের এই সুন্দরতম প্রতিবেদনে এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় নিয়ে আপনাদেরকে জানিয়েছি। আশা করছি ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত টাকা ২০২৪ এর সম্পর্কে বিস্তারিত আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এবং আরো জানানোর চেষ্টা করেছি মোটর সাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফ্রি এবং মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফ্রি কত টাকা ইতিমধ্যে আপনারা অবগত হয়েছেন। আশা করছি এর মাধ্যমে আপনারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে এবং টাইপিং লাইসেন্সে করতে কি কি কাগজপত্র লাগে তা জেনেছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি আপনি এবং আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকেও এই বিষয়ে অবগত করার জন্য সহায়তা করুন, ধন্যবাদ।