বুলগেরিয়া কাজের ভিসা ২০২৪

দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে বুলগেরিয়া রাষ্ট্র অবস্থিত।  প্রত্যেক মানুষেরই স্বপ্ন থাকে এই ইউরোপের কোন দেশে যেতে। অন্যান্য দেশের  মতো বুলগেরিয়া  যাওয়া কঠিন। কারণ সার্কুলার না থাকলে কাজের জন্য বুলগেরিয়া ভিসা পাওয়া যায় না। যারা ভাবতেছেন বুলগেরিয়া কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন তাদের অবশ্যই ভিসা করতে হবে। আপনি আমাদের এই লেখাটি পড়লে বুলগেরিয়া ভিসার বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এজন্য আপনাকে বুলগেরিয়ার সরকারি সার্কুলার এর অপেক্ষা করতে হবে। কারণ প্রতিবছর এই বুলগেরিয়া বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। বিশেষ করে কাজের ভিসা এবং গার্মেন্টস ভিসা বেশি শ্রমিক নিয়ে থাকেন। আপনি তাদের সার্কুলার অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমে বুলগেরিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বুলগেরিয়া কাজের ভিসা

বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে বুলগিরিয়ায় যেতে চাচ্ছেন। আবার অনেকেই রয়েছেন তারা বুলগিরিয়ায় প্রবাসী হিসেবে বসবাস করেন। প্রতি বছরেই বুলগিরিয়া সরকার কাজের ভিসা শ্রমিক নিয়ে থাকেন। বর্তমান সময়ে বুলগেরিয়া ভিসা করতে একটু জটিল হয়ে গেছে।

আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে বুলগেরিয়ার কাজের ভিসা আবেদন করেন তাহলে পরবর্তীতে আপনাকে লেটার দিয়ে জানানো হবে। তখনই আপনি কোন এজেন্সির সাহায্য নিয়ে ভিসা পেতে পারেন। কোন এজেন্সির মাধ্যমে বুলগেরিয়ার কাজের ভিসা করতে চাইলে ৬ লক্ষ টাকা থাকে ৭ লক্ষ টাকার মধ্যে ভিসা করা সম্ভব।

বুলগেরিয়া থেকে ইতালি

কিছু মানুষ আছে তারা ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে আগে বুলগারিয়া প্রবেশ করে। বুলগিরিয়া থেকে অবৈধ পথে রিক্স নিয়ে অনেকেই ইতালি পারে জমাচ্ছে। অবৈধ পথে ইতালি যাওয়া আসলেই ঠিক না। অনেক সময় মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। এবং ধরা পড়লে আইনে প্রটোকলে সাজা পেতে হয়। বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যাওয়া অনেকটাই সহজ। আপনি অবৈধ পথ অবলম্বন করে সহজেই ইতালি প্রবেশ করতে পারবেন।

বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা

গার্মেন্টস ভিসা প্রতিবছরের বুলগেরিয়ায় সরকার সার্কুলার দিয়ে থাকে। কারণ বুলগেরিয়া গার্মেন্টস অনুযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা কম। এজন্য প্রতি বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে তারা শ্রমিক নিয়োগ করে থাকেন। অনলাইন এর মাধ্যমে গার্মেন্টস ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।

অথবা আপনি কোন এজেন্সির সাহায্য নিয়ে সার্কুলার অনুযায়ী গার্মেন্টস ভিসা করতে পারবেন। সরকারি ভাবে আপনি গার্মেন্টস ভিসা পেয়ে গেলে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যেই ভিসা পাবেন। এবং এজেন্সির মাধ্যমে  ‍বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা করতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগবে।

বুলগেরিয়া কি সেনজেন

অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে বুলগেরিয়া কি সেনজেন এর আওতাভুক্ত কিনা। ইউরোপের মধ্যে মোট ২৭ টি সেনজেন দেশ রয়েছে। এই দেশের মধ্যে বুলগেরিয়া দেশ আওতাভুক্ত। অর্থাৎ বুলগেরিয়া দেশকে সেনজেন বলা হয়। আপনি কোন এজেন্সির সাহায্য নিয়ে বুলগেরিয়ার ভিসা করে সেনজেন দেশে প্রবেশ করতে পারবেন।

বুলগেরিয়া বেতন কত

সবাই কোন কাজে যাওয়ার আগে বেতন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করে। আপনারা যারা  বলগেরিয়া যেতে চাচ্ছেন। আপনার কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন কম বেশি হতে পারে। আপনার যদি কাজের অভিজ্ঞতা ভালো থাকে তাহলে আপনি ৭০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন উত্তোলন করতে পারবেন। এবং নতুন অবস্থায় আপনি যদি যান তাহলে সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন তুলতে পারবেন।

বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে

আপনার ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার দাম কম বেশি হবে। আপনার যদি কাজের ভিসা হয় অথবা গার্মেন্টস ভিসা হয় তাহলে একটু বেশি টাকা খরচ হবে। এবং সরকারিভাবে যদি এ বিষয়গুলো পেয়ে থাকেন তাহলে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন। এবং বাংলাদেশ থেকে কোন এজেন্সির মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসা এবং ভিজিট ভিসা সহ সর্বনিম্ন ৩ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকার মধ্যে বুলগিরিয়া ভিসা পাওয়া সম্ভব।

শেষ কথা

আপনারা যারা ইউরোপীয় দেশে বুলগেরিয়া কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু বুলগেরিয়ার ভিসার খরচ এবং বেতন সম্পর্কে কোন তথ্য জানেন না। আমরা এই পোস্টে বুলগিরিয়া দেশের বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন এবং বুলগেরিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। এই রকম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি শেয়ার করে রাখুন। ধন্যবাদ

2 thoughts on “বুলগেরিয়া কাজের ভিসা ২০২৪”

  1. অসংখ্য ধন্যবাদ
    আমি বুলগেরিয়া যেতে ইচ্ছুক

    Reply

Leave a Comment